সংবাদ শিরোনামঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউপি নির্বাচনে মীর শাহআলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার ইউপি নির্বাচনে এডভোকেট নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত অনিয়মে চাকরিচ্যুত হবেন কর্মকর্তারা, ফেক্ট- উপজেলা পরিষদ নির্বাচন লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন লক্ষ্মীপুর -১ আসনের ড, আনোয়ার খান এম পির বড় ভাই আখতার খান রায়পুর উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় অধ্যক্ষ মামুনের চেয়ারম্যান হওয়া প্রয়োজন লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮ম: বারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলে মোঃ এমদাদুল হক দালাল বাজার ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে কাকে ভোট দিবেন? লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদপ্রার্থী কাজল খাঁনের গণজোয়ার লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাঁচজন,কে হবেন চেয়ারম্যান ? বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ওমান সুর শাখার সহ-সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেনের ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক এমপি ও মন্ত্রী হতে নয় বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে আ.লীগ করি, সুজিত রায় নন্দী বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই লক্ষ্মীপুরে বিনা তদবিরে পুলিশে চাকরি পেল ৪৪ নারী-পুরুষ
বেপরোয়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই বিশেষ অভিযানে নামতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

বেপরোয়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই বিশেষ অভিযানে নামতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ভিবি নিউজ ডেস্ক:

দেশজুড়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। ওই অপরাধী চক্রের সদস্যদের কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সারাদেশে অন্তত ৫ শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। কেবলমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই ৫০ কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। দেশজুড়ে বর্তমানে ওই গ্যাংয়ের সদস্য সংখ্যা হবে ৫ থেকে ৬ হাজার। তার মধ্যে রাজধানীতেই সক্রিয় সহস্রাধিক। নানা অপরাধের পাশাপাশি তুচ্ছ ঘটনায় খুন করতেও দ্বিধাবোধ করছে না ওই বেপরোয়া গোষ্ঠী। গত তিন বছরে সারাদেশে অর্ধশতাধিক মানুষ কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হয়েছে। ওসব খুনের ঘটনায় ৫ শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। আর ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ৩ বছরে কিশোর গ্যাংয়ের দেড় শতাধিক সদস্যকে সাজা দিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেফতার হওয়া গ্যাংয়ের সদস্যদের ৩টি সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ ও প্রতিকারে শিগগিরই সারাদেশে কিশোর গ্যাং সদস্য গ্রেফতারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে যাচ্ছে। পুলিশ সদর দফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছোট ছোট অপরাধ থেকে শুরু করে হত্যাকা-, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদকাসক্তি, মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে ওই চক্রের সদস্যদের বেপরোয়া অপরাধমূলক কর্মকা- আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাংয়ের সদস্যের হাতে খুন, লাঞ্ছিত, নিগৃহীত, আহতসহ অপ্রীতিকর ঘটনায় মানুষজন খুবই উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কগ্রস্ত। আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, প্রেমের বিরোধ, মাদকসহ নানা অপরাধে কিশোররা খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতেও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় বড় ভাইরাই মূলত বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে। রাজধানীতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের খুনোখুনিতেও কিশোর ও তরুণদের ব্যবহার করার ঘটনাও ঘটছে। মূলত হিরোইজম প্রকাশ করতেই পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। এমন অবস্থায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা রোধে শিগগিরই বড় ধরনের অভিযান চালানো হবে।

সূত্র জানায়, সারাদেশের সব জেলা, থানা, বিভাগ ও মেট্রোপলিটন এলাকায় গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাংয়ের দাপটে গ্রাম-গঞ্জ, পাড়া-মহল্লা, হাঠ-বাজার, শহর-বন্দর সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক স্থানেই কিশোর গ্যাংয়ের নাম শুনলেই ভয়ে আঁতকে ওঠে মানুষ। রাজধানী ঢাকাতে থাকা কিশোর গ্যাংগুলোর মধ্যে এক সময় পাওয়ার বয়েজ, ডিসকো বয়েজ, বিগ বস, নাইন স্টার ও নাইন এমএম বয়েজ, এনএনএস, এফএইচবি, জিইউ, ক্যাকরা, ডিএইচবি, ব্যাক রোজ, রনো, কেনাইন, ফিফটিন গ্যাং, পোঁটলা বাবু, সুজন ফাইটার, আলতাফ জিরো, ক্যাসল বয়েজ, ভাইপার, তুফান, থ্রি গাল গ্যাং, লাগবি নাকি, মাঈনুদ্দিন গ্রুপ, বিহারি রাসেল গ্যাং, বিচ্চু বাহিনী, পিচ্চি বাবু, সাইফুলের গ্যাং, সাবি্বর গ্যাং, বাবু রাজন গ্যাং, রিপন গ্যাং, মোবারক গ্যাং, নয়ন গ্যাং, তালাচাবি গ্যাং, নাইন এম এম, একে ৪৭ ও ফাইভ স্টার গ্রুপ, স্টার বন্ড গ্রুপ, মোল্লা রাবি্বর গ্রুপ, গ্রুপ টোয়েন্টিফাইভ, লাড়া দে, লেভেল হাই, দেখে ল-চিনে ল, কোপায়ইয়া দে, শাহীন-রিপন গ্যাং, নাজিম উদ্দিন গ্যাং, শান্ত গ্যাং, মেহেদী গ্যাং, সোলেমান গ্যাং, রাসেল ও উজ্জ্বল গ্যাং, বাংলা ও লাভলেট গ্যাং, জুম্মন গ্যাং, চান-জাদু, ডেভিল কিং ফুল পার্টি, ভলিয়ম টু, ভা-ারি গ্যাং, টিকটক গ্যাং, পোঁটলা সিফাত গ্যাং যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। কেবলমাত্র রাজধানীতে ৫০টির বেশি কিশোর গ্যাং রয়েছে। প্রতিটি গ্যাংয়ে ১৫ থেকে ২০ জন করে সদস্য রয়েছে। ওই গ্যাংগুলো উত্তরা, তুরাগ, খিলগাঁও, দক্ষিণখান, টঙ্গী, সূত্রাপুর, ডেমরা, সবুজবাগ, খিলক্ষেত, কোতোয়ালি, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, আগারগাঁও ও হাতিরঝিলে সক্রিয়।

সূত্র আরো জানায়, সারাদেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়া থেকে শুরু করে অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণকারীদের ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাংগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দেশের নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে কিশোর গ্যাং সদস্যরা ব্যবহৃত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে। নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীর মদদ পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিগত ২০১৭ সালে সারাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। তার কিছুদিন পর অভিযানে ঢিলেঢালা ভাব দেখা দেয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় খুনোখুনিসহ নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে যায়। কিশোর অপরাধীদের একটা বড় অংশ ধনাঢ্য ও অভিজাত শ্রেণীর ঘর থেকে উঠে এসে রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে পাড়া-মহল্লায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান জীবনযাপন করা একশ্রেণীর কিশোরর গ্যাংগুলোর সদস্য। তারা রেললাইন ও বস্তি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে তারা জড়িত। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা রোধে শিগগিরই বড় ধরনের অভিযান চালানো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এদিকে র‌্যাবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ৫০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। তার মধ্যে উত্তরায় ২২টি ও মিরপুরে ১০টি। তাছাড়া তেজগাঁও, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, মহাখালী, বংশাল, মুগদা, চকবাজার ও শ্যামপুরে একাধিক গ্যাং সক্রিয়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা খুন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিং এবং মাদক ব্যবসার মতো অপরাধে বেশি জড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের নিয়ন্ত্রক বা পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় সমাজের কিছু বড় ভাই রয়েছে। যেসব কিশোর গ্যাং সদস্য গ্রেফতার হয়েছে তাদেরকে দেশের ৩টি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। অধিকাংশ কিশোরই হত্যা, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক, নারী ও শিশু নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি, তথ্যপ্রযুক্তি মামলার আসামি।

আর পুলিশের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নানা কারণে নিজেরাই কিশোর গ্যাং গড়ে তুলছে। যার মধ্যে পারিবারিক ও সামাজিক এবং শিক্ষাগত কারণ অন্যতম। পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থায় নিম্ন আয়ের পরিবারের কিশোররা নানা কারণে শিক্ষা থেকে অনেক সময় বঞ্চিত হয়। আবার অনেকে স্কুল থেকেই ঝরে পড়ে। অনেকের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। ওসব কিশোরের মধ্যে এক ধরনের হতাশার সৃষ্টি হয়। প্রথম প্রথম ওসব কিশোর হতাশায় ভুলে থাকতে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ে। মাদক সেবনের কারণে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়। পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রায়ই গালমন্দ করে। একদিকে লেখাপড়া বা স্কুলে যাওয়ার কোন তাড়া থাকে না, অন্যদিকে পরিবারের সদস্যদের কাছে গালমন্দ খেতে খেতে তাদের মধ্যে হতাশা পুরোপুরি ভর করে। তারা মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে সবকিছু ভুলে থাকার চেষ্টা করতে থাকে। পরিবারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আস্তে আস্তে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আর মাদক সেবনকালে স্বাভাবিক কারণেই সমবয়সী কিশোরদের সঙ্গে এদের সম্পর্ক হয়। তারপর তারা নিজেরাই সংঘবদ্ধ হয়ে গড়ে তুলছে গ্যাং। আর মাদকের টাকা যোগাড় করতে ছিনতাই, মাদক বিক্রিসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে এক ধরনের হিরোইজম কাজ করে। তারা পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন জায়গায় বসে ইভটিজিং করে। পাড়া-মহল্লায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে একসঙ্গে অনেক কিশোর বিকট শব্দে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। অনেক সময়ে রাজনৈতিক দলের ও দলের কোন কোন নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়েও কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার তথ্য মিলেছে।

অন্যদিকে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা জানান, কিশোর গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পর্যায়ক্রমে আলাদা আলাদা গ্রুপ তৈরি করে। তাদের ড্রেস কোড থাকে, আলাদা হেয়ার স্টাইল থাকে, তাদের চালচলনও ভিন্ন। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। তারা নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। নানাভাবে তারা অর্থ সংস্থানের চেষ্টা করে। এলাকার কোন বড় ভাইর সহযোগী শক্তি হিসেবেও তারা কাজ করে। কিশোরদের একত্রিত করে কতিপয় ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ত করছে। তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয়ও আছে। সহজ ও অল্প খরচে কিশোরদের দিয়ে তারা অপরাধ করানোর সুযোগ নিচ্ছে। অস্ত্রবাজি, মাদক ও হত্যাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে তারা কিশোরদের ব্যবহার করে। তাছাড়া কোন কোন রাজনৈতিক নেতা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কিশোর গ্যাং তৈরি করছে। তাছাড়া এদেশে শিশুদের লালনপালন করার ক্ষেত্রে পরিবারগুলো শিক্ষা, চিকিৎসা এবং অন্যান্য বিষয়ে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানরা অপরাধে জড়ায় এমন একটি কথা সমাজে প্রচলিত আছে। কিন্তু ওই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বরং উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও অপরাধে জড়াচ্ছে। সঠিক ও সুষ্ঠু সামাজিকীকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে কিশোরদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা তৈরি হচ্ছে। সেগুলো প্রশমিত না হওয়ায় তারা নানা ধরনের অপরাধে জড়াচ্ছে। ওসব কারণ বিশ্লেষণ করে সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ না নিলে কিশোর অপরাধ কমানো সম্ভব নয়।

এ প্রসঙ্গ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম অপরাধ পরিস্থিতি সম্পর্কিত মাসিক পর্যালোচনা বৈঠকে রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। ডিএমপির অপরাধ বিভাগকে সতকর্তার সঙ্গে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ডিবি পুলিশ সদস্যদের বলেছেন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত ও নজরদারিতে রাখতে বলা হয়। তাছাড়া গ্যাং কর্মকান্ড মোকাবেলায় নগরীর বিভিন্ন সড়কে অস্থায়ী চেকপয়েন্ট বসানোর ওপরও তাগিদ দেয়া হয়েছে।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com